১.০ সূচনা
১। মহাজোটের সরকারের আমলে বাংলাদেশের জ্বালানি সমস্যা ক্রমান্বয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হতে চলছে। বাংলাদেশের জ্বালানি সংকটের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে জ্বালানি সেক্টরের বিভিন্ন নিয়ামক সম্বন্ধে সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের অজ্ঞতা, অব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পিত দুর্নীতি। গত দু’বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশে দুর্নীতি নিয়ে যে পরিমাণ হৈচৈ হয়েছে, জ্বালানি সেক্টরের সংঘটিত ও বিদ্যমান দুর্নীতি তার তুলনায় হাজার গুণ বেশী। দুর্নীতির প্রকার ও পরিমাণ সম্বন্ধে জনগণের ধারনা নেই বলে বিষয়গুলো আলোচিত ও প্রকাশিত হয়নি। জ্বালানি সেক্টরের দুর্নীতির কৌশল হলো দেশের জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজেরা সামান্য কিছু সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে বিদেশী ও দেশী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠিকে বিশাল প্রাপ্তির সুযোগ করে দেয়া।
২। দেশের একটি কুচক্রীমহল আইনি চাদর পরিয়ে এ সুবিধাগুলো পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। আইনি চাদর পরাবার প্রয়োজনে বিদেশী কোম্পানিগুলো দেশের অত্যন্ত নামিদামি আইনজ্ঞদেরকে অতি উচ্চ মূল্যে তাদের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করে। এসকল বিখ্যাত আইন উপদেষ্টারা অতিসহজেই সরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উপদেশ দানকারী অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ/সরকারী আইন কর্মকর্তাদেরকে আইনি লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়ে দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তিকে আদালতে প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করে।
৩। বাংলাদেশের দুর্নীতির মহাসমুদ্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। তা কতকটা ঝাকি জাল দিয়ে পুঠি মাছ ধরার অনুরূপ। স্বাভাবিক কারণে জ্বালানি সেক্টরে বিচরনকৃত বড় ধরনের দুর্নীতিবাজরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এরফলে সরকার পরিবর্তন হলেও জ্বালানি সেক্টরের দুর্নীতির কর্মকান্ড বক্তৃতা ও আলোচনার মধ্যেই সীমিত থাকে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের কোন লক্ষণ দেখা যায় না।
৪। জ্বালানি সেক্টরের গত বিশ বছরের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, নূতন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে যে কাজগুলো করেন তাহলো অতীত সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বক্তৃতা প্রদান করা এবং জনগণেকে ”আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা বলে সুর করে ঘুম পড়ানোর ছড়াগান শুনান”। সে ছড়া গানের সুরে যা থাকে তা হলো রিনিউয়েবল এনার্জী দিয়ে জ্বালানি সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি, বিদেশ থেকে গ্যাস/এলএনজি আমদানী করে এবং নেপাল, ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানী করে গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা মিটানো এবং নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করা। দীর্ঘ মেয়াদি এ প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের কৌশল সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের ধারনা না থাকার কারণে চার-পাঁচ বছরে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয় না। কিছুদিন পর জ্বালানি সমস্যায় জর্জরিত জনগণ এগুলিকে অবাস্তব কল্পনা হিসেবে ভাবতে শুরু করে। পেটে ক্ষুধা থাকলে যেমন শিশুরা চাঁদ মামার টিপ দেয়ার গল্পে ঘুমিয়ে পরে না তেমনি জ্বালানি সমস্যা লাঘব না হলে সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের শুধু প্রতিশ্রুতি শুনে জনগণ বেশী দিন তুষ্ট থাকতে পারে না।
৫। কোন দেশে চাহিদার চেয়ে অনেক অনেকগুণ বেশী নিজস্ব জ্বালানি সম্পদ থাকা সত্ত্বেও সেদেশের জনগণ জ্বালানিসহ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে পারে এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে নাইজেরিয়া। ওপেকের সদস্য হিসেবে প্রতিবছর কোটি কোটি ব্যারেল তেল রপ্তানি করার পরেও দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে আশি ও নব্বইয়ের দশকে নাইজেরিয়া অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। যা এখন প্রবাদ বাক্য হিসেবে ”নাইজেরিয়করণ” নামে পরিচিত। অনেক দুঃখ দুর্দশা সহ্য করে নব্বইয়ের দশকের পর নাইজেরিয়া ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে; সে দেশের সাধারণ মানুষ জ্বালানি সম্পদ থেকে কিছুটা সুবিধা পেতে শুরু করেছে।
৬। গত বিশ বছরে বাংলাদেশে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিভিন্ন সরকারের আমলে (স্বৈর সরকার/প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার/দ্বিতীয় গণতান্ত্রিক সরকার/জোট সরকার/তত্ত্বাবধায় সরকার/মহাজোট সরকার) বাংলাদেশের জ্বালানি সেক্টরে দেশের স্বার্থবিরোধী বড় ধরনের দুর্নীতির যেসকল ঘটনা ঘটেছে বলে আলোচিত হয় তা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো-
(ক) কাফকোর কাছে কম দামে গ্যাস বিক্রি করে আন্তর্জাতিক বাজার দরে সার ক্রয়ের চুক্তি;
(খ) কোন দরপত্র ছাড়া আবিস্কৃত জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র অক্সিডেন্টাল কোম্পানির কাছে লীজ প্রদান;
(গ) সমুদ্র অঞ্চলে অবস্থিত সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত গ্যাসের সর্বোচ্চ মূল্যের (প্রতি এমসিএফ ২.৭৭ ডলার) চেয়ে স্থলভাগে অবস্থিত জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে বেশী সর্বোচ্চ মূল্যে (প্রতি এমসিএফ ৩.২৩ ডলার) গ্যাস ক্রয়ের চুক্তি;
(ঘ) সেভ্রনের কাছ থেকে বেশী দামে (প্রতি এমসিএফ ৩.২৩ ডলার) গ্যাস ক্রয় করে লাফার্জ সিমেন্ট কারখানার কাছে কমদামে (প্রতি এমসিএফ গ্যাস ২.৮ ডলার) বিক্রয়ের চুক্তি;
(ঙ) ফুলবাড়ী কয়লা উন্নয়ন চুক্তি;
(চ) বাপেক্স-নাইকো জয়েন্টভেঞ্চার চুক্তি;
(ছ) মাগুরছড়া গ্যাস ক্ষেত্রের বিষ্ফোরনের ক্ষতি-পূরন না নেয়ার বদলে ৫% এর চুক্তি;
(জ) সেভ্ররনকে জালালাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের বাহিরের এলাকায় গ্যাস অন্বেষণ ও উন্নয়নের অনুমতি প্রদান;
(ঝ) জিটিসিএল এর কম্প্রেসার ক্রয়ের আন্তর্জাতিক দরপত্র বাতিল করে সেভ্ররনের মাধ্যমে কোন দরপত্র ছাড়া একটি কম্প্রেসার স্থাপনের সুযোগ প্রদান (ডেইলী স্টার: ৩০ আগষ্ট, ২০০৯);
(ঞ) পিএসসিতে শতকরা ৮০ ভাগ রপ্তানির সুযোগ রেখে সমুদ্রাঞ্চলের তিনটি ব্লকে ইজারা প্রদান;
(ট) এশিয়া এনার্জির বেআইনী ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্পকে বৈধতা দেয়ার উদ্দেশ্যে কয়লানীতি প্রণয়ন।
৭। উপরে বর্ণিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, এগুলোর সূচনা এবং বাস্তবায়নের সময়কাল একাধিক সরকারের শাসনকাল ধরে বিস্তৃত। একথার অর্থ হলো যে, দেশের সরকার পরিবর্তন হলেও দুর্নীতিবাজরা একে অপরের যোগসাজোগে দেশের স্বার্থবিরোধী এসকল কর্মকান্ড চালিয়ে গেছে এবং এখনও চালাচ্ছে। উদাহরণসরূপ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গৃহীত সমুদ্রাঞ্চলের বিতর্কীত পিএসসিগুলো মহাজোট সরকার অনুমোদন প্রদান করেছে। অতীতের ঘটনাসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, দেশী-বিদেশী স্বার্থন্বেষীমহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ক্রমাগতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রাজনৈতিকভাবে অস্থির সময়কে বেছে নেয় এবং সফলতা অর্জন করে। সরকার পরিবর্তনের শেষ পর্যায়ে এবং/অথবা নূতন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতে (অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে) এধরনের উদ্যোগের প্রকাশ বেশী দেখা যায়।
৮। উপরে উল্লেখিত জ্বালানি সেক্টরের দুর্নীতি সম্বন্ধীয় বিতর্কীত বিষয়গুলোর সাথে পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সম্পৃক্ত। মাঝে মাঝে শোনা যায় যে এসব সহযোগিতার জন্য পেট্রোবাংলার কোন কোন চেয়ারম্যান পরবর্তীতে উচ্চ পদের চাকুরী পেয়েছেন, আবার কেউ চাকুরীতে এক্সটেনশন পেয়েছেন। আবার পেট্রোবাংলার কোন কোন চেয়ারম্যান দেশের স্বার্থ বিরোধী চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার কারণে নিগৃহীত ও লাঞ্চিত হয়েছেন। ২৯ আগষ্ট ২০০৯ তারিখে প্রয়াত পেট্রোবাংলার প্রাক্তন চেয়ারম্যান জনাব এস,আর, ওসমানিকে টাটার ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সস্তায় নিশ্চিত গ্যাস সরবরাহ প্রস্তাবে সায় না দেয়ায় বিসিকের চেয়ারম্যান হিসেবে বদলী করা হয়েছে (ডেইলী স্টার: ৩০ আগষ্ট, ২০০৯)। বর্তমান সরকারের আমলে হলে হয়তো চাকুরীচ্যুত হতে হতো। অন্যদিকে দেশের স্বার্থ বিরোধী টাটার বিনিয়োগ প্রস্তাব সম্বন্ধে দেশের নাম করা সংবাদ মাধ্যম এবং বিখ্যাত বুদ্ধির পুকুর (ঞযরহশ ঞধহশ) হিসেবে পরিচিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা অনেক প্রশংসা করে সরকারকে তরিৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে পেট্রোবাংলার পরবর্তী চেয়ারম্যান একজন সাহসী ও দেশ প্রেমিক আমলা (ব্যুরোক্রাট) জনাব ওসমানীর ন্যয় দেশের পক্ষে (গ্যাসের ন্যায্য মূল্য ও সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা প্রস্তাব করে) দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করার কারণে টাটা বাংলাদেশ থেকে তাদের বহুল প্রচারিত বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। ভবিষ্যতে টাটাকে পুনরায় বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সে দেশের সরকার ইতোমধ্যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
৯। দেশের স্বার্থ বিরোধী এসব বড় বড় চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতে সংশ্লিষ্ট দেশের স্থানীয় কূটনীতিবিদেরকে সার্বক্ষনিকভাবে অনেক তৎপরতা চালাতে দেখা যায়। তারা সফল না হলে সংশ্লিষ্ট দেশের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টদেরকে বাংলাদেশে ভ্রমনের আয়োজন করেন। তখন দেশের সংবাদ মাধ্যমে তাদের এ সফর দেশের ভাবমুর্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত সহায়ক বলে প্রচার করা হয়। এপ্রসঙ্গে নিকট অতীতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং ইদানিংকালে একাধিক ব্রিটিশ মন্ত্রীর বাংলাদেশ ভ্রমনের সময়কাল পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।
২.০ সমুদ্রাঞ্চলে ৩টি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি
১০। দেশের সংবাদ মাধ্যমে ৮০ ভাগ রপ্তানির সুযোগ রেখে সমুদ্রাঞ্চলে ৩টি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি প্রদানের জন্য প্রতিবাদ প্রচারিত হওয়ার পরে পেট্রোবাংলার বর্তমান চেয়ারম্যান এনার্জী এন্ড পাওয়ার এর ১ আগষ্ট, ২০০৯ তারিখের প্রকাশিত সংখ্যায় মত প্রকাশ করেছেন যে, সমালোচকদের পিএসসির একটি নির্দিষ্ট ধারা পড়ে সমালোচনা করা উচিত নয়। তাদের মডেল পিএসসি-২০০৮ এর সকল ধারা পর্যালোচনা করে মন্তব্য করা উচিৎ। দেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের পেট্রোবাংলার ওয়েব সাইট এ (www.petrobangla.org.bd) উপস্থাপিত উক্ত পিএসসির বিভিন্ন ধারা স্টাডি করার অনুরোধ করছি। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট ১৯৭৪ অধীনে মডেল পিএসসি-২০০৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। এবং পেট্রোলিয়াম অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর মূল ভিত্তি হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধিকার। অনুমোদিত মডেল পিএসসি-২০০৮ এর ১৫ অধ্যায়ে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্ভাব্য ব্যবহার এবং দাম সম্বন্ধে বর্ণনা দেয়া আছে। উক্ত অধ্যায় থেকে বাছাইকৃত কয়েকটি ধারা মন্তব্যসহ নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।
10.1| 15.5.1 Subject to Articles 15.5.4, 15.5.5 and 15.6 Contractor shall have the right to export any marketable natural gas as defined in Article 15.5.2 in the form of Liquefied Natural Gas (LNG). Such volume shall consist of:
a) Contractor’s Cost Recovery Natural Gas,
b) Contractor’s Profit Natural Gas, and
c) Petrobangla’s Profit Natural Gas or, where applicable, the remaining share of Petrobangla’s Natural Gas over the reservation pursuant to Article 15.5.4.
Where Contractor intends to export the Natural Gas as LNG, the related LNG facilities shall be constructed and operated on the basis of a special LNG export agreement between Contractor and Petrobangla. Such agreement shall allow, if appropriate, for the use of facilities by third parties.
10.2| Article 15.5.4 Where Petrobangla has installed necessary facilities to transport and use of gas to meet domestic requirements, Petrobangla shall be entitled at its option to retain natural gas produced upto Petrobangla’s share of profit gas but no more than 20% of the total marketable natural gas.
১০.৩। ১৫.৫.৪ ধারা পড়লে মনে হয় যে উৎপাদিত গ্যাসের মালিক কন্ট্রাক্টর (আইওসি); তারা পেট্রোবাংলাকে প্রয়োজনে স্থানীয় ব্যবহারের জন্য গ্যাস সংরক্ষন করতে দিবে। অনুবাদ করলে বুঝা যায় যেক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা স্থানীয় চাহিদা মিটাতে প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা (পাইপলাইন) স্থাপন করতে পারবে সেক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা তার অংশের প্রোফিট গ্যাস রাখার অধিকার প্রাপ্ত হবে। তবে তা কোন মতেই মোট মার্কেটবল গ্যাসের ২০% এর বেশী হবে না। (১৫.৫.১ ধারা অনুসারে মার্কেটেবল গ্যাস বলতে (ক) কন্ট্রাকটারের প্রাপ্য কস্টরিকভারী গ্যাস, (খ) কন্ট্রাকটারের প্রাপ্য প্রফিট গ্যাস এবং (গ) পেট্রোবাংলার প্রাপ্য প্রফিট গ্যাস; অর্থাৎ সংক্ষেপে উৎপাদিত ১০০ ভাগ গ্যাস বুঝাবে)। পেট্রোবাংলা ১৯৭৪ সালে আবিস্কৃত নিকট সমুদ্রে অবস্থিত কুতুবদিয়া গ্যাস ক্ষেত্রকে ২০০৯ পর্যন্ত সময়কালে উৎপাদনে এনে সে গ্যাস দেশে ব্যবহারের জন্য পাইপলাইন স্থাপন করতে পারেনি সেক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা গভীর সমুদ্রে অবস্থিত দূরবর্তী ব্লক থেকে স্থলভাগে গ্যাস পরিবহনের জন্য পাইপলাইন স্থাপন করা পেট্রোবাংলার পক্ষে অসম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়। এই অযুহাতে পেট্রোবাংলা তখন ১০০% ভাগ বাজারজাতযোগ্য গ্যাস রপ্তানির অনুমতি দিতে বাধ্য হবে।
10.4| Article 15.5.5 Contractor shall not enter into any agreement for LNG export unless the price or the pricing formula and the agreement itself are previously approved by Petrobangla. Such approval shall not be withheld where Contractor can demonstrate that the price received or pricing formula established represents the fair market value at the point of export for LNG taking into account the volumes of LNG export to be sold and the nature and geographical location of the markets to be served, as well as the transport and distribution costs of LNG from the point of export to the market are acceptable to Petrobangla.
১০.৫। আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০৮ এবং ২০০৯ সালের তেল, গ্যাস ও এলএনজি এর দাম (টেবিল-১) পর্যালোচনা করে বলা যায় যে অদূরভবিষ্যতে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী আইওসিরা গ্যাস আবিষ্কার করতে সক্ষম হলে মডেল পিএসসি-২০০৮ এ উল্লেখিত সর্বোচ্চ গ্যাসের দামের দুই থেকে তিনগুণ দামে আবিস্কৃত গ্যাস রপ্তানির চুক্তি করতে পারবে। সেক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত ১৫.৫.৫ ধারার শর্তে গ্যাস রপ্তানির অনুমতি দিতে পেট্রোবাংলা বাধ্য হবে।
Table 1: Price of Crude Oil & Heat Equivalent Price of Natural Gas, Onshore, Offshore NG, Int. Coal & Local Coal
Price of Crude Oil & NG-08.exl
Notes: 1 ton= 7.4 barrel, 1 litre= (1 ton/1000/0.85), $ 1= Tk. 70,
HV of Oil = (42.7 GJ/ton), HV of Gas = (0.986GJ/MCF), HV of Coal = (25.63GJ/ton)
Well Head Price of Onshore Gas = (0.75 x Heat Equivalent Price of Oil)
Well Head Price of Offshore Gas = (0.9375 x Heat Equivalent Price of Oi)
Local Coal Price=0.7xInternational Coal Price
10.6| Article 15.6(a) Contractor shall offer its share of Cost Recovery Gas and Profit Gas to Petrobangla, and Petrobangla shall undertake that it or its Affiliates will purchase the gas. The obligation shall not be diminished if additional reserves of Gas are discovered outside the Contract Area as long as Contractor is fulfilling its obligation to deliver Natural Gas from the Production Area. The contractual terms of purchase and sale of such marketable Natural Gas shall be negotiated with Petrobangla or its Affiliate prior to approval of the Development Plan and shall include the financial terms set out in Article 15.7.
15.6(b) If a written notice of a market outlet is not given by Petrobangla within six (6) months after the date of submission of the Evaluation Report as per Article 8.5, Contractor will be free to find a market outlet within Bangladesh. Petrobangla shall cooperate with Contractor to facilitate such sale.
15.6(c) Contractor has the option to sell Contractor’s share of Natural Gas in the domestic market to a third party, subject to Petrobangla’s right of first refusal.
১০.৭। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এনার্জি এন্ড পাওয়ারে তার স্বাক্ষাতকারে বলেছেন যে, পেট্রোবাংলা আইওসির গ্যাস কেনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেই কেবলমাত্র তারা তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে পারবে এবং/অথবা এলএনজি করে রপ্তানি করতে পারবে। তার এ ব্যাখ্যাটি একান্তভাবে অগ্রহণযোগ্য। কেননা প্রথম রাউন্ডের অধীনে স্বাক্ষরিত পিএসসি অনুসারে সরকার/পেট্রোবাংলা ইতোমধ্যে কেয়ার্নকে মগনামা থেকে গ্যাস অন্বেষণ ও উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করেছে (নিউ এইজ: ৩০ আগষ্ট, ২০০৯)। এ ক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে কাফকো এবং কোরিয়ান ইপিজেড স্বাচ্ছন্দ্যে কেয়ার্নের নিকট থেকে প্রতি এমসিএফ গ্যাস ৭-৮ ডলারে ক্রয়ের চুক্তি করতে আগ্রহী হবে, যার ফলে পেট্রোবাংলা তথা বাংলাদেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে কেয়ার্ন বিদ্যমান পিএসসি চুক্তির বাইরে প্রতি এমসিএফ গ্যাসের দাম ৩ ডলারের পরিবর্তে ৭-৮ ডলাবে বিক্রি করে লাভবান হবে। একথা সহজেই অনুমান করা যায় যে আলোচিত ৩টি ব্লকের ক্ষেত্রেও সরকার/পেট্রোবাংলা একটি অযুহাত সৃষ্টি করে গ্যাস রপ্তানির অনুমতি প্রদান করবে। জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত মহজোট সরকারের কাছ থেকে এধরনের একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত কোনমতেই কাম্য নয়।
10.8| Article 15.7 The financial terms to be included in the purchase and sale agreement referred to in Article 15.6 shall be as follows:
(i) The price of Natural Gas shall be calculated as follows:
(a) subject to Article 15.7(ii), for onshore gas, the price shall be seventy-five percent (75%) of the Market Price as defined in Article 15.7(i)(b) converted into Dollars per mscf on the basis of thermal energy equivalents (BTU);
(b) the Market Price shall be calculated for each Calendar Quarter based on the arithmetic average of Asian Petroleum Price Index (“APPI”) quotations of High Sulphur Fuel Oil 180 CST (“HSFO”), FOB, Singapore only for such days as such quotations are published for the six months ending on the last day of the second (2nd) month preceding the start of the quarter for which the calculation of the Market Price is to be made; Such fuel oil price will have a floor of seventy Dollars ($70) per metric ton and a ceiling of one hundred and eighty Dollars ($180) per metric ton;
(c) in the event that the trading of HSFO in the area covered by APPI ceases or HSFO prices cease to be quoted by APPI ceases to be published, the Parties shall meet and agree as soon as possible upon a suitable alternative. Until such time as a new basis of pricing is agreed, the last available Marker Price shall continue to be used;
(d) for the western zone (Onshore) gas price shall be twenty-five percent (25%) higher than for the other onshore gas price calculated as per 15.7(i)(a).
or
for offshore gas from Type-A blocks situated north of 20 degree north latitude, the price shall be twenty-five percent (25%) higher than for the onshore gas price calculated as per (a) above;
or
for offshore gas from Type-b blocks situated south of 20 degree north latitude, the price shall be one hundred percent (100%) of the Market Price as defined in Article 15.7(i)(b);
(e) Petrobangla shall receive a discount of minimum one percent (1.%) on the price of gas calculated as per Article 15.7 (i)(a) and 15.7 (i)(d) on the Natural Gas sold by Contractor to Petrobangla at the Measurement Point.
(ii) Should the Marker Price for any Calendar Quarter, calculated as in Article 15.7(i)(d) above fall below a floor price of seventy Dollars ($70) per metric ton of HSFO or rise above a ceiling price of one hundred and eighty Dollar ($180) per metric ton of HSFO, the Marker Price for that quarter shall be fixed at the floorprice or ceiling price respectively.
(iii) The gas prices calculated in Articles 15.7 (i)(a), (i)(b), (i)(c), (i)(d) and (i)(e), above shall be applicable to sales at the Measurement Point.
(iv) Sales of Gas to Petrobangla or its Affiliate shall be invoiced monthly and payment shall be made within sixty (60) days of issue of invoice. The invoice should be supported by necessary documents along with “Cost Recovery Statement” as on the invoiced month.
10.9| 15.8 The price for Natural Gas sold to a third party(ies) shall be equal to the price obtained as per Article 15.7 or more.
১০.১০। ১৫.৭ ধারা বর্ণিত বিভিন্ন হিসাব অনুসারে মডেল পিএসসি-২০০৮ এ বর্ণিত উৎপাদিত গ্যাসের মূল্য নিম্নে উপস্থাপন করা হলো (Table 2)।
Table 2: Price of Onshore, West Zone, Offshore(A) and Offshore(B) Gas as per PSC-2008
১০.১১। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রড ওয়েল এর দাম উঠা-নামা করলে ফুয়েল ওয়েলের দামও পরিবর্তীত হয়। তাপানুপাতিক হিসাব অনুসারে ক্রড ওয়েলের দাম (প্রতি ব্যারেল, প্রতি টন, প্রতি লিটার) এবং হিসাবকৃত প্রতি এমসিএফ Onshore Gas, Offshore(A) Gas/West Zone Gas Ges Off-shore(B) Gas এর দাম, কয়লার দাম (প্রতি টন) তুলনা করার জন্য Table ১: এ উপস্থাপন করা হয়েছে।
১১। মডেল পিএসসি-২০০৮ এ বর্ণিত সূত্র অনুসারে [১৫.৭(i) (b)] গ্যাসের সর্বোচ্চ মূল্য (তাপানুপাতিক হিসাবে) প্রতি টন ফুয়েল ওয়েল ১৮০ ডলার (প্রতি ব্যারেল ২৪.৩ ডলার) ধরে হিসাব করতে হবে। সে অনুসারে গভীর সমুদ্রাঞ্চলে উৎপাদিত প্রতি এমসিএফ গ্যাসের সর্বোচ্চ মূল্য হয় ৪.১৫৭ ডলার হয় (টেবিল-১)। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সর্বোচ্চ মূল্য প্রতি ব্যারেল ১৪০ ডলার হয়েছিল। ২০০৯ সালে তেলের মূল্য প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের কাছাকাছি আছে। প্রতি ব্যারেল তেলের মূল্য ৭০ ডলার এবং ১৪০ ডলার হিসাবে প্রতি এমসিএফ গ্যাসের দাম হয় যথাক্রমে ১১.৯৬১ ডলার এবং ২৩.৯২৩ ডলার (টেবিল-২)। এমতাবস্থায় সমুদ্রাঞ্চলে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানী ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী বিক্রয় চুক্তির অধীনে উৎপাদিত প্রতি এমসিএফ গ্যাস ১০-১২ ডলারে চুক্তি করতে সক্ষম হবে। যা কিনা পিএসসিতে নির্ধারিত সর্বোচ্চ গ্যাসের দাম (প্রতি এমসিএফ ৪.১৬ ডলার) এর তিন গুন। এমতাবস্থায় পেট্রোবাংলা কোনভাবেই গ্যাস রপ্তানির এধরণের লাভজনক প্রস্তাব অনুমোদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ মাসে পেট্রোবাংলার অধীনস্ত বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানী আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরিয়া সারের দামের সূত্রের হিসাব অনুসারে প্রতি এমসিএফ গ্যাস বিক্রি করে কাফকোর কাছ থেকে ১০.৯৫ ডলার পেয়েছে। সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ যে পেট্রোবাংলা পিএসসিতে বর্ণিত শর্ত ভঙ্গ করে কেয়ার্ন-কে উচ্চ দামে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির অনুমতি প্রদান করেছে (নিউ এইজ: ৩০ আগষ্ট, ২০০৯)।
১২। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেছেন যে, মডেল পিএসসি ১৯৯৭-তে ছিল বিধায় পুনরায় মডেল পিএসসি ২০০৮-এ এলএনজি করে গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রাখা হয়েছে। স্পষ্টত: পেট্রোবাংলা ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে দেশে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধির ধরণ এবং দেশের অর্থনীতিতে গ্যাস ব্যবহারের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনি। ১৯৯৭ সালে মোট উৎপাদিত গ্যাসের পরিমাণ ছিল ২৬১ বিসিএফ। যা ২০০৯ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫৪ বিসিএফ হয়েছে। ১৯৯৭-২০০৯ সময় কালে গ্যাসের বাৎসরিক চাহিদা বৃদ্ধির গড় আয় ছিল ১২.৫%। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে মোট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৯৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট সে তুলনায় গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ছিল ২১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ দৈনিক মোট রেজিষ্টার্ড ঘাটতি ছিল ২৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট, যা কিনা মোট উৎপাদন ক্ষমতার অতিরিক্ত ১২%। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত শিল্প-কারখানার গ্যাসের চাহিদা হিসাব করলে ২০০৯ সালের জুলাই মাসে গ্যাসের ঘাটতির মাত্রা মোট উৎপাদন ক্ষমতার ২৫% এর কম হবে না। অর্থাৎ গ্যাসের দৈনিক মোট চাহিদা হবে প্রায় ২৪৩১ মিলিয়ন ঘনফুট।
১৩। উপরের আলোচনা থেকে উপসংহারে বলা যায় যে, মহাজোট সরকার ৮০ ভাগ গ্যাস রপ্তানির সুযোগ প্রদান করে সমুদ্রাঞ্চলের ৩টি ব্লকের পিএসসি অনুমোদন করে একটি বাংলাদেশের তেল, গ্যাস অন্বেষণে একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা করল। যার ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অবস্থা নাইজেরিয়ার ন্যায় হতে পারে।
* তেল, গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কর্তৃক ৩১ আগষ্ট, ২০০৯ তারিখে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত ”বহুজাতিক পুঁজি, অসম চুক্তি এবং বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ।
References:
Alam, Nurul (2002): Petroleum Law, Aligarh Library, Dhaka New Market, Dhaka-1205, December 2002.
GOB (1993): Petroleum Policy 1993, Ministry of Energy and Mineral Resources, Govenment of the People’s Repubil of Bangladesh, 1993.
GOB (1996): National Energy Policy 1996, Banglaesh Gazette, 15 January, 1996.
Petrobangla (1997): Model Production Sharing Contract-1997, Petrobangla, 3 Kawran Bazar, Dhaka-1215, March 1997.
GOB (1998): The Constitution of the People’s Repubil of Bangladesh (As modified up to 31 December, 1998), Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs, Govenment of the People’s Repubil of Bangladesh, 1998.
Islam M. Nurul (2001): R¡vjvwb mgm¨v evsjv‡`k †cÖw¶Z, MYcÖKvkbx, kvnevM, XvKv, 2001
মোঃ নুরুল ইসলাম (২০০৫): বাংলাদেশের জ্বালানি উন্নয়ন: সমকারীণ আলোচনা ও মতামত, ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মহিউদ্দিন মেমোরিয়াল বক্তৃতা, দি ইনষ্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, ৪৯তম জাতীয় কনভেনশন, চট্রগ্রাম, ১৫ মে ২০০৫।
Petrobangla (2008): Model Production Sharing Contract-2008, Petrobangla, 3 Kawran Bazar, Dhaka-1215, 2008.
Petrobangla (2008): Petroleum Exploration Opportunities in Bangladesh, Petrobangla, 3 Kawran Bazar, Dhaka-1215, 2008. February 2008.
Petrobangla (2008): Annual Report 2007, Petrobangla, 3 Kawran Bazar, Dhaka-1215, 2008. December 2008.
http://www.petrobangla.org.bd
মোঃ নুরুল ইসলাম (২০০৯): পিএসসিতে ৮০ভাগ রপ্তানির সুযোগ দেশের স্বার্থ বিরোধী, প্রথম আলো, ৭ জুলাই ২০০৯।
মোঃ নুরুল ইসলাম (২০০৯): তেল গ্যাস কয়লা রপ্তানি নিষিদ্ধ করে আইন পাস করা উচিত, ”সাপ্তাহিক” ১০ জুলাই ২০০৯।
মোঃ নুরুল ইসলাম (২০০৯): তিনটি গ্যাক্ষেত্র ইজারার সিদ্ধান্ত দেশের স্বাথ্যের পরিপন্থী, সাপ্তাহিক একতা, ৩০ আগষ্ট, ২০০৯।
Aminul Islam (2009): Cairn to Explore Magnama as Govt Bows to Pressure- allowing cairn to sale gas to third parties against country’s interest, say expert; The New Age, 30 August, 2009.
Sharier Khan (2009): PM Weighs in to Check Chevron Deal- Ask Petrobangla to Explain Why open tender for GTCL Project cancelled; The Daily Star, 30 August, 2009.
লেখকঃ
প্রফেসর মোঃ নুরুল ইসলাম
ইনষ্টিটিউট অব এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
email: nurul@iat.buet.ac.bd