কনোকো ফিলিপস’র দূর্ঘটনার তৈলচিত্র – নূর নবী দুলাল

Posted: জুলাই 21, 2011 in ব্লগ

অনেকদিন ধরে ব্লগ লিখি না। অনেকটা আলস্যের চাঁদরে মনে হয় নিজেকে আবৃত করে ফেলেছি। কিছুটা সত্যি। কিন্তু পুরোপুরি না। যা নিয়ে আমার মধ্যে উদ্বেগের ঝড় উঠে, সেই বিষয়ে আমার সহ-যোদ্ধা ব্লগাররা বরাবরের মতই যুদ্ধে মেতে আছে। তাই জারী এই অনলাইনের যুদ্ধ উপভোগ করে নিজেকে প্রশান্তির মেঘে ভাসিয়ে বেড়াচ্ছি। ব্লগে গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি, হাসিনার সরকার কর্তৃক আমাদের তেল-গ্যাস নিয়ে যে রাষ্ট্রীয় ডাকাতী হয়ে গেল, সে বিষয়ে আলোচনা কম হচ্ছে। এর কারণ, জ্বালানী সম্পদের ব্যবস্থাপনা, উত্তোলন, সাপ্লাই-ডিমান্ড ইত্যাদি কারিগরি বিষয়াদি জড়িত থাকার কারনে এ সম্পর্কে আমাদের কম জানা। পৃথিবীর সব দেশের জনগনই জ্বালানী এবং খনিজ সম্পদ নিয়ে একটু কমই জানে। আর এ সুযোগেই পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট কোম্পানীগুলো খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ দেশগুলোর দূনীর্তিপরায়ন সরকারের সাথে আঁতাত করে খনিজ সম্পদ লুণ্ঠন করে নেয়।

গত ১৬ই জুন কনোকো ফিলিপস নামের একটি এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের ফুলবানু সরকার আপোষ-রফায় এক হতে পেরেছেন। দেশের তেল-সম্পদ নিয়ে যারা টুকটাক কথা বলছে, তারা একে নব্য ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানী হিসাবে দেখছেন। এই চৌর্যবৃত্তি প্রকাশ হওয়ার ভয়ে সরকার চুক্তির ব্যাপারে একেবারেই মুখ খুলছেন না। আমরা সাধারণ জনগণ অজ্ঞতার কারণে সরকারের এই কাশিমবাজার কুঠির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে হয়তঃ কিছুই জানতাম না। কিন্তু আনু-মানু নামের কিছু টোকাইয়ের সরকারের চুরির দলিল পিএসসি নিয়ে অযথা ঘাটাঘাটির কারণে আমরা বোকামানুষগুলো চুক্তির অনেক কিছুই জেনে গেছি। ফুলবানু এই টোকাইগুলোকে লোক দেখানো পাত্তা না দিলেও জানে এরা ফুলবাড়ি থেকে কিভাবে এশিয়া এনার্জিকে তাড়িয়েছিল। তাইতো চুক্তির দিন সুশীল এই টোকাইদের মাথা ফাঁটিয়ে রক্তের লাল দিয়ে চুক্তির এই তামাশাকে রঙ্গিন করেছিল। টোকাইদের এই রক্ত দেখে সাধারণ মানুষের ক্রোধ চাঙিয়ে উঠল। টোকাইরা সাহস করে ঢাকায় একটা ছয় ঘন্টার হরতাল করে ফেলল।

ফুলবানুর সরকারের সময় করা সবগুলো হরতালের মধ্যে এটি ছিল একটি সফল হরতাল। অনেক দিন ধরে এ ধরনের হরতাল আর দেখি না। এখন হরতাল হয়ে গেছে আগেরদিন আট-দশটি যানবাহন পুড়িয়ে দিয়ে পরেরদিন নাকে সর্ষে তেল দিয়ে ঘুমানো। বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে হরতাল শতভাগ সফল বলে ঘোষনা দেওয়া। নিদেন পক্ষে সামনেরবার মন্ত্রী হওয়ার মনবাসনায় ফারুকের মত দুই/একজন অভিনেতা রাজনীতিবিদ’র হরতাল তারকা হওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষনীয়। হরতাল হয়েছিল স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়। আন্দোলনের শেষদিকে এরশাদের রাষ্ট্রীয় পেটুয়াবাহিনী বনাম জনগণ ছিল রাজপথের তরঙ্গ। তখন, সরকার আর জনগণের মধ্যে এক নিরব প্রতিযোগীতা থাকত রাজপথ দখল নিয়ে। ঠিক সেই রকম একটি হরতাল আমরা দেখেছিলাম গত ৩রা জুন। আমার বিশ্বাস, ফুলবানুর সরকারের বিরুদ্ধে এটি ছিল জনগণের সত্যিকারের ঘৃনা প্রকাশ।

ফুলবানু তার এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘দেশের তেল-গ্যাস সম্পদ পূঁজায় প্রভুদের ভোগ হিসাবে না দেওয়ার কারণে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি’। বিজ্ঞজনদের ধারণা, তাই আমাদের ফুলবানু আগামীতে ক্ষমতায় আসার আকাঙ্খায় প্রভুদের মন্দিরে পূঁজার অর্ঘ্য দিলেন এ চুক্তির মাধ্যমে। একটা মজার ব্যাপার এখানে লক্ষনীয়। রাষ্ট্রীয় চোরদের মধ্যে একটা দারুন সাদৃশ্যতা দেখলাম। আনু-মানু টোকাইদের এই আন্দোলন এবং কনোকো ফিলিপস’র সাথে ফুলবানুর এই গোপন মাখামাখি নিয়ে আমাদের গোলাপজান টু’শব্দটিও করলেন না। দেশের সম্পদ লুন্ঠন নিয়ে গোলাপজানের কোন মাথা ব্যাথা নাই। যত মাথা ব্যাথা সব দেশপ্রেমিক টোকাইদের। ফুলবানু আর গোলাপজানের এই নিরবতায় আরেকবার জনগণ বুঝে নিল- “চোরে চোরে মাসতুতো ভাই কাকে বলে”? দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে ফুলবানু-গোলাপজান আর তাদের চেলাদের চৌর্যবৃত্তিতে দেশের মুল মিডিয়াগুলো চোখে কালো চশমা পরে মৌনকুহর’র ভুমিকা পালন করছেন! জনগণ বুঝল এখানে ভাগাভাগির কারবার হয়েছে। ওরা সবাইকে বদলাতে বললেও, স্বার্থের কোঁচড় বাঁচাতে নিজেরাই বদলায় না।

টোকাইরা যখন রাজপথে, ব্লগে, অনলাইনের বিভিন্ন সামাজিক সাইটগুলোতে খুবই সোচ্চার, তখন একটা কথা কানে এসে বাজত। দূঘর্টনার মহারাজা হিসাবে কনোকো ফিলিপস’কে সম্বোধন করত অনেকেই। কিন্তু, একথাটির সমর্থনে তেমন উল্লেখযোগ্য সুত্র খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ফেজবুকের একটা নোটস্‌’র সুত্র ধরে জানতে পারি, কনোকো ফিলিপস কর্তৃক পরিচালিত চীনের বেইজিং-এর সন্নিকটে অবস্থিত বোহাই সাগরের পেংলাই অঞ্চলে পেংলাই ১৯-৩ নম্বর তেলকুপে দূঘর্টনার কারণে সমুদ্রপৃষ্টে অপরিশোধিত তেল ছড়িয়ে পড়ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সমুদ্র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে এই দুর্ঘটনার কারণে ৮৪০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বোহাই সাগরে এই অপরিশোধিত তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এতবড় জায়গা জুড়ে কনোকো ফিলিপস’র কর্তৃক এই দূর্ঘটনার কারণে মারাত্মক পরিবেশ দূষনের কবলে পড়েছে সমুদ্রপৃষ্ট। দূঘর্টনায় কূপ থেকে লিক হওয়ার কারণে চীনের সমুদ্রপৃষ্টের ভাসমান এই অপরিশোধিত তেল দিয়ে লন্ডনের বিশাল সমুদ্র এলাকা দূষিত হওয়ার কারনে দূর্ঘটনার একমাস পরে তা প্রকাশ হয়ে গেছে। দূর্ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ই জুন। কনোকো ফিলিপস কর্তৃক এই দুর্ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টার কারনে দীর্ঘ একমাস পর গত ৫ই জুলাই এটি প্রথম মিডিয়াতে আসে। তাও দুর্ঘটনার মাত্রা অনেক বড় হওয়ায় এবং সমুদ্রপৃষ্টের বৃহৎ এলাকা অপরিশোধিত তেল ছড়িয়ে যাওয়ার কারনে চীন কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই কনোকো ফিলিপস কর্তৃক এই দূর্ঘটনার খবর প্রকাশ করতে বাধ্য হন।

চীনের বোহাই সাগরের এই তেল ক্ষেত্রটির মালিকানার ৫১ শতাংশ চীনের (ন্যাশনাল অফশোর অয়েল কর্পোরেশন) এবং বাকী ৪৯ শতাংশ কনোকো ফিলিপস’র। কুপটির খনন কাজ করতে গিয়ে কনোকো ফিলিপস এই দূর্ঘটনাটি ঘটায়। দূর্ঘটনার ভয়াবহতার কারণে কনোকো ফিলিপস এক রকম বাধ্য হয়েই দূঘর্টনার দ্ধায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে একরকম বাধ্য হয়েই সমুদ্রপৃষ্টে এই অপরিশোধিত তেল পরিস্কার করার দ্ধায়িত্ব নিতে হয়েছে চীনের ঐ ৫১ শতাংশ মালিকানার রাষ্ট্রয়ত্ব কোম্পানীকে। চীনের রাষ্ট্রীয় সমুদ্র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মিঃ লি জিয়াওমিন বলেছেন, বোহাই সাগরের এই দূর্ঘটনার পর চীনা কর্তৃপক্ষ তেল নির্গমনের পথটি বন্ধ করার জন্য কনোকো’কে বার বার সতর্ক করার পরও কর্ণপাত করেনি। কর্ণপাত করলে দূঘর্টনার এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। তিনি বিরক্ত প্রকাশ করে বলেন, অতীতেও কনোকো ফিলিপস’কে খনন কার্যে বিভিন্ন ঝুকিপুর্ণ কর্মকান্ডে বারংবার সতর্ক করা হয়েছিল।

এই অপরিশোধিত তেল ছড়িয়ে পড়ার শেষ মাথা থেকে ৪৫ মাইল দুরে নানহুয়াচাং দ্বীপে ভেসে উঠেছে মরা মাছ ও মৃত সামুদ্রিক আগাছা। ধারণা করা হচ্ছে এই ঘটনার ফলাফল হবে সুদূরপ্রসারী। এই অপরিশোধিত তেলের রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ায় সমুদ্র অঞ্চলের যেমন ক্ষতি হবে, ঠিক তেমনি সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষ-জনও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক জানতে হলে তদন্তের ফলাফল জানতে হবে। তবে অনুমান করা হচ্ছে এই অঙ্ক ২ মিলিয়ন ডলারের সমতূল্য হতে পারে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ প্রতিষ্ঠান শিনহুয়ার মতে, এর দায় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির এবং এই খবর দেরীতে প্রকাশের জন্য এর কর্মকর্তারা ‘যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা’ স্বীকার করেন।

গ্লোবাল টাইমসের মতো শক্তিশালী পত্রিকা দাবী করে, ‘এই সকল বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরকারী রেগুলেটরি বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সম্পর্ক খুবই গা ঘেঁষা’ এবং দাবি করা হচ্ছে ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মাঝেই মার্কিন এবং ইউরোপিয়ান কূপগুলোতে ১০০এর অধিক অপ্রকাশিত তেল নির্গমনের ঘটনা ঘটেছে যা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে সময়মতো। গ্রীনপিসের দাবি ক্ষতির মাত্রাগত পরিমান বর্ননার অন্তত ৬০ গুন বেশি। পুঁজিবাদী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের প্রথম কাজ এখন দূর্ঘটনাকবলিত কূপ বন্ধ করা নয়, সত্যকে প্রকাশ হওয়া থেকে প্রতিহত করা।

চীনের এ ঘটনাটি জানার পর কনোকো ফিলিপস’র দূর্ঘটনার তথ্য যা জানলাম অর্ন্তজালে প্রকাশিত ক্ষুদ্র ভান্ডার থেকে, তা রীতিমত ভীতিকর। কনোকো ফিলিপস খোদ যুক্তরাষ্ট্রে অনেকগুলো দূঘর্টনা ঘটিয়েছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দূঘর্টনার মহারাজা উপাধিতে ভুষিত করা অযৌক্তিক নয় বলেই এখন মনে হচ্ছে। এমন একটি ঝুকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে আমাদের ফুলবানু সরকার আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারটি কতটুকু মাথায় রেখেছেন জানতে ইচ্ছে করে? চীনের মত যদি একটি দূঘর্টনা আমাদের বঙ্গপোসাগরে ঘটে ২০ শতাংশের মালিক ফুলবানু কি পরিবেশ রক্ষার দ্ধায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিতে পারবেন? মাগুড়ছড়ার দূর্ঘটনায় আমরা কি কলাটা পেয়েছি, তা আশাকরি সবাই অবগত আছেন।

আপডেটঃ
গত ১৬ই জুন সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্র বেনিয়া কনোকো-ফিলিপস’র চুক্তির পর তেল-গ্যাস-বন্দর ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা কমিটির আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী আজ (১১-০৭-২০১১) কনোকো-ফিলিপস এর সাথে সরকারের চুক্তির বিষয়ে পর্যালোচনা ও কমিটির সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দু’টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শীর্ষনিউজ.কম’র সংবাদ অনুযায়ী, চুক্তি না দেখেই কনোকো-ফিলিপস’র পক্ষে ২ সংসদীয় কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। সংবাদে শীর্ষনিউজ জানিয়েছে,

সমুদ্র বক্ষের খনিজ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বহুজাতিক কোম্পানি কনোকো-ফিলিপস’র সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি না দেখেই তার পক্ষে সাফাই গেয়েছে পৃথক দুটি সংসদীয় কমিটি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সমপর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আলোচিত এই চুক্তিকে ‘যৌক্তিক’ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এটিকে ‘দূরদর্শী’ ও ‘সাহসী’ আখ্যা দিয়েছে।
অবশ্য পূর্ণাঙ্গ চুক্তি তো দূরের কথা এর সার-সংক্ষেপও দেখেননি ওই দুটি কমিটির কোন সদস্য। পৃথক দুটি বৈঠকে চুক্তির ব্যাপারে তারা শুধু জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনের মৌখিক বক্তব্য শুনেছেন। আর এর জোরেই তারা প্রবলভাবে এ চুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

এ সংবাদটি কি আমাদের রক্তে অনুরনন বাড়িয়ে দেয় না? যাদেরকে রক্ষক করে জনগণ সংসদে পাঠিয়েছিল, তারাই আজ ভক্ষক হয়ে বসে আছে। নব্য এই ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঘুষের লু’হাওয়া কতটুকু ছড়িয়ছে চিন্তা করে দেখুন। আমাদের এই দেশকে দূর্ঘটনার মহারাজা কনোকো-ফিলিপস কর্তৃক আসন্ন দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে, এই সাম্রাজ্যবাদী লুটেরা কোম্পানীর লুটের হাত থেকে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের উপর আর কি বিশ্বাস করা যায়? সমুদ্রপৃষ্টে মাটির নীচের এই সম্পদ আমাদের। এ সম্পদ আমাদের অনাগত ভবিষ্যতদের। এই সম্পদ রক্ষা করার দ্ধায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে। সম্পদ রক্ষার এ আন্দোলন কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী নয়। এটি জাতি হিসাবে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করার কর্মসূচী। তাই বাংলাদেশের প্রতিটি দেশ-প্রেমিক নাগরিকের উচিত দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার এই আন্দোলনে নিজের প্রতিবাদী দুটি হাত ও কন্ঠ এক করে সমস্বরে বলা, আমার মাটি আমার মা, নাইজেরিয়া হবে না।

তেল-গ্যাস-সম্পদ রক্ষাকারী জাতীয় কমিটির উচিত সরকারের সাথে কনোকো-ফিলিপস’র সম্পাদিত এই চুক্তিটির অসঙ্গতিগুলো জনগণের সামনে আরো ব্যাপকভাবে উপস্থাপন করা। কমিটির আন্দোলনকে আরো জোরদার করা এখন সময়ের দাবী। শ্লথগতির আন্দোলনের কারণে আমরা আমাদের সম্পদকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিতে রাজী নই।

উপরের ছবিটি বিখ্যাত কোন চিত্রকরের তৈলচিত্র নয়। এটি চীনের বোহাই সাগরে কনোকো ফিলিপস কর্তৃক অংকিত দূঘর্টনার তৈলচিত্র।

মূল লিংকঃ http://bit.ly/p0y8d3

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান